Description
টবে ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি, প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব টবে ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি তাই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন টবে ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাহলে চলুন দেরি না করে এখনি জেনে নেয়া যাক ।
আর্টিকেলটিতে আমরা কিছু প্রডাক্ট তুলে ধরেছি প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন পিকচার তুলে ধরেছে আপনি চাইলে প্রোডাক্টগুলো দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অর্ডার করে সংগ্রহ করতে পারেন । প্রডাক্ট কেনার জন্য সরাসরি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করুন অথবা অডার অপশনে অর্ডার করুন ।
টবে ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি
ক্যাপসিকাম, কম বেশি প্রায় সকলেই খেতে পছন্দ করেন৷ এর গুণ কিন্তু অপরিসীম ৷ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোক বা রান্না অথবা স্যালাড, সবক্ষেত্রেই এর ভূমিকা অপরিসীম৷ রসুন, আদার মতো এই ক্যাপসিকামও কিন্তু সহজেই বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় টবে চাষ করতে পারবেন ৷ চাইলে বিক্রিও করতে পারেন ৷ আমাদের দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বেল পেপার। এ নামে অবশ্য খুব বেশি মানুষ এটিকে চিনবে না। কিন্তু যদি ক্যাপসিকাম বা সিমলা মরিচ বলা হয় তাহলে সবাই চিনবেন। মরিচ নাম হলেও একটি আসলে একটি সবজি। মাছ, মাংস, সবজি, সালাদ—সবকিছুতেই এর ব্যবহার রয়েছে। টবে ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি :-
মাটি প্রস্তুকরণ : টবে ক্যাপসিকামের জন্য অর্ধেক দোয়াশ মাটি, অর্ধেক জৈব সার, আধা চামচ ইউরিয়া,আধা চামচ ফসফেট, আধা চামচ পটাশ এবং আধা চামচ ম্যাগনেশিয়াম সালফেট একসাথে মিশিয়ে নিন। এখন টবে আপনার পছন্দের ক্যাপসিকাম চারাটি লাগিয়ে দিয়ে টবে ভরপুর পানি দিয়ে দিন। দোয়াশ মাটি না হলে সমস্যা নাই ক্যাপসিকাম প্রায় সব মাটিতে হয়, তবে এটেল মাটি থাকলে – অর্ধেক এটেল মাটি অর্ধেক নদীর বালি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন।
অন্যন্য পরিচর্যা : ক্যাপসিকাম গাছ রোদ পছন্দ করে তবে হালকা রোদেও ভাল হয়, তবে কোনভাবে ছয়াতে রাখা যাবে না। প্রতিদিন পানি দিতে হবে অর্থাৎ টবের মাটি একটু শুকিয়ে আসলে পানি দিতে হবে, প্রয়োজনে দিনে একাধিকবার দিতে হবে। যারা হালকা রোদে করবে তাদের মাটি শুকানোর আগে পানি দেওয়া ঠিক হবে না। এ গাছের সহ্যশক্তি কম হওয়ায় খরা বা জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না এবং আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। ক্যাপসিকাম এর আকার বড় তাই হেলে পড়া রোধে খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে। চারা রোপনে ২০ দিন পর পর পর ১ চামচ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছটি ৪-৫ ইঞ্চি হলে এর আগা কেটে দিলে গাছটি অনেক ঝোপড়া হবে এবং ফলনও বেশি হবে।
ক্যাপসিকাম এর রোগবালাই : ক্যাপসিকাম গাছে পোকামাকড়,ভাইরাসজনিত ও ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। পোকার মধ্যে এফিড, থ্রিপস,লালমগড়, জাবপোকা ও মাইট আক্রমণ করে। ছত্রাকের মধ্যে উইল্কল্ট ও এনথ্রাকনোজ রোগে আক্রান্ত হয়। ভাইরাসের আক্রমনে পাতায় হলদে দাগ পড়ে এবং পাতা কুঁকড়ে যায়। এসব রোগ হলে গাছ দ্রুত ধংস করতে হবে। এ রোগ হলে তেমন কোন প্রতিষেধক পাওয়া যায় না। তবে ডাইমেথয়েট গাছ রোপনে ৩ দিন পর থেকে ১০ দিন পর পর ৩০ ফোটা ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করলে এসব রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়।
সার ব্যবহার : সারের জন্য শাকসব্জী এবং ফলের খোসা পচা জল, পাতা পচা ইত্যাদি মাটিতে প্রয়োগ করতে পারেন। এগুলি মাটির গুণমানকে উন্নত করে এবং উদ্ভিদকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। আর যদি জমিতে চাষ করা হয় তাহলে মিষ্টি মরিচ চাষে প্রতি শতাংশে গোবর ৪০ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ১.৪ কেজি, এমপি ১ কেজি, জিপসাম ৪৫০ গ্রাম এবং জিংক অক্সাইড ২০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর, টিএসপি, জিংক অক্সাইড, জিপসাম, ১/৩ ভাগ এমপি এবং ১/৩ ভাগ ইউরিয়া চারা রোপণের গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ২/৩ ভাগ ইউরিয়া এবং এমপি পরবর্তীতে দুই ভাগ করে চারা লাগানোর যথাক্রমে ২৫ এবং ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।
ফসল সংগ্রহ : মিষ্টি মরিচ সাধারণত পরিপক্ক সবুজ অবস্থায় লালচে হওয়ার আগেই মাঠ থেকে উঠানো যায়। সাধারণত সপ্তাহে একবার গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ গাছে একবারে প্রায় ৪ থেকে ৫ টি ক্যাপসিকাম আসে। একবার গাছ ভালো করে বিকশিত হয়ে গেলে প্রথম যখন ফল আসবে তখন তা সংগ্রহ না করাই ভালো। এতে গাছ দৃঢ় হয়। দ্বিতীয়বার থেকে ফল সংগ্রহ করাই ভালো। ফল সংগ্রহের পর ঠান্ডা অথচ ছায়াযুক্ত স্থানে বাজারজাতকরণেল পূর্ব পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হয়। তবে ফল সংগ্রহের সময় প্রতিটি ফলে সামান্য পরিমাণে বোটা রেখে দিতে হবে।
আমাদের আর্টিকেলটিতে আমরা বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন পিকচার তুলে ধরেছিআপনি যদি মেডিসিন টি সংগ্রহ করতে চান তাহলে আর্টিকেল আদালতে সকল নাম্বার গুলো রয়েছে সেগুলো তো ফোন করে মেডিসিন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে অর্ডার করে দিতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় মেডিসিন আমাদের প্রতিনিধি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায় ধন্যবাদ।
Reviews
There are no reviews yet.