Description
কি কি কারনে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে সম্পর্কে অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন তাই আজকের অতিথি সাজিয়েছি এমন ভাবে যে আইডির মাধ্যমে আপনাদের সাথে কথা বলব কি কি কারনে স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে এবং কোন কারনে স্ত্রী স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার রাখে এই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি৷ স্বপ্নে কারো সাথে সহবাস করতে দেখলে কি হয় ( জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য )
কি কি কারনে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে
এই আর্টিকেল থেকে আমরা আলোচনা করেছি কি কি কারনে স্ত্রী স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবেন এবং কেন ও কোন কোন অপরাধের জন্য ও স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিবেন এ সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলটি আলোচনা করেছি এছাড়াও আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি এগুলো আপনার মনোযোগ সহকার ৷
সাধারণত কাবিন নাম্বার তিনটি কারণে আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবেন এই নিয়মগুলো আমরা নিচের আলোচনা করেছি ৷
প্রথমটি হলো কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলাম৷ যদি বিয়ের সময় কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলামে স্ত্রীকে যদি এই ক্ষমতা দেওয়া হয় সে তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে, তাহলে স্ত্রী এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে তালাক দিতে পারবে৷ সব সময় মনে রাখবেন এই ক্ষমতাটি কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলামে দেওয়া থাকে৷
দ্বিতীয় পদ্ধিতিটি হলো খুলা তালাক৷ যদি কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলামে এই ক্ষমতা স্ত্রীকে দেওয়া না হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে স্ত্রী তার স্বামীকে খোলা তালাক দিতে পারে৷ খোলা তালাক হলো স্ত্রী তার স্বামীকে নিজ থেকে প্রস্তাব( proposal) দিবে তাকে যেন তালাক দেয়, বিনিময়ে স্ত্রী তার স্বামী থেকে দেনমোহরের টাকা নিবে না বা অন্য কোন কিছু বিনিময়েও খুলা তালাক দেওয়া যায়৷ এই তালাকটি সমঝোতার মাধ্যমে হয়ে থাকে৷
আর তৃতীয় পদ্ধতিটি হলো আদালতের মাধ্যমে তালাক৷ স্ত্রী কোর্টে গিয়ে তালাকের জন্য মামলা করতে পারে৷
ইতিমধ্যে বলেছি এই ক্ষমতাটি কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলামে দেওয়া হয়৷ স্ত্রী এই ক্ষমতাবলে তার স্বামীকে তালাক দিতে পারে৷ স্ত্রী যদি কাবিননামার ১৮ নাম্বার কলাম অনুসারে তার স্বামীকে তালাক দিতে চাই, সেই ক্ষেত্রে প্রথমে নোটিশ দিতে হবে৷ স্বামী যদি ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত এলাকার মধ্যে থাকে সে ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের কাছে অথবা স্বামী যদি সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে থাকে সেই ক্ষেত্রে মেয়র কার্যালয়ে নোটিশ দিতে হবে৷
একটা বিষয় মনে রাখবেন চেয়ারম্যান বা মেয়রের কাছে পাঠানো নোটিশের কপি স্বামীর ঠিকনায় অবশ্যই পাঠাতে হবে৷
চেয়ারম্যান বা মেয়র এই নোটিশটি পাওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে তিনজনের সমন্বয়ে একটি সালিশ পরিষদ গঠন করবে৷ এই সালিশি পরিষদে স্বামী তার পক্ষে একজনকে মনোনীত করবেন এবং স্ত্রী তার পক্ষে একজনকে মনোনীত করবেন আর চেয়ারম্যান বা মেয়র একজনকে মনোনীত করবেন আর চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত করা ব্যক্তি হবেন এই সালিশি পরিষদের প্রধান৷ পুরুষের ও মেয়েদের সে– ক্স বৃদ্ধি করার ভেষজ ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন – এখনি কিনুন
কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম
এছাড়াও আপনি আপনার স্ত্রীকে কোটের মাধ্যমে তালাক দিতে পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে কোর্টের যে নিয়ম কারণ অথবা আইনগুলো আছে সেগুলো মেনে আপনার স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে এবং কিছু কিছু নিয়ম আছে সেগুলো আপনাকে জানতে হবে আপনার স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে৷
আপনি চাইলে একজন ভালো আইনজীবীর মাধ্যমেও তালাকের নোটিশ পাঠাতে পারেন৷
সবসময় মনে রাখবেন আপনি যার মাধ্যমে তালাকের নোটিশ পাঠান না কেন নোটিশ এর প্রধান যে উপাদানগুলো রয়েছে এবং নোটিশের যে একটা ফরমেট রয়েছে সে ফরমেট অনুযায়ী এবং প্রধান উপাদানগুলো যেন অন্তর্ভুক্ত থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন৷
স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নিয়ম
এছাড়াও স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার যে নিয়মগুলো ইসলামের রয়েছে এই নিয়মগুলো মেনে আপনাকে এই স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে সে নিয়মগুলো সম্পর্কে আমরা নিচ্ছি বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনারা চাইলে নিয়মগুলো দেখে নিতে পারেন৷
কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী তালাক দেওয়ার সর্বোত্তম ও সুন্দর পদ্ধতি হলো— স্ত্রী যখন হায়েজ (মাসিক) থেকে পবিত্র হবে, তখন স্বামী তার সঙ্গে সহবাস না করে সুস্পষ্ট শব্দে এক তালাক দেবে। যেমন—’আমি তোমাকে তালাক দিলাম’। এরপর স্বামী যদি স্ত্রীকে ইদ্দত চলাকালীন ফিরিয়ে নিতে চায়, তাহলে তা পারবে।
Reviews
There are no reviews yet.